Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় ৩ জনের মৃত্যু

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২০ ডিসেম্বর, ২০২১, ১২:০০ এএম

রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় গৃহকর্মীসহ তিন জনের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে ঝুলন্ত অবস্থায় ২ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গত শনিবার দিনগত রাতে এই পৃথক ঘটনাগুলো ঘটে। তারা হলেন- শান্তিনগরের সাদিয়া (১৬), মুগদার বিদ্যুৎ (১৮) ও খিলগাঁওয়ের রিনভী আক্তার (২৩)।

পল্টন থানার এসআই আনিসুর রহমান জানান, সাদিয়ার ফরিদপুর জেলার সাইদুল ইসলামের মেয়ে। তিনি বেশ কয়েক মাস ধরে শান্তিনগরের একটি বাড়িতে গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করতেন। গত শনিবার রাতে তিনি বাসায় একাই ছিল। গৃহকর্তা পরিবারসহ নারায়ণগঞ্জের একটি অনুষ্ঠানে গিয়েছিল। সেখান থেকে রাত সাড়ে ১০টার দিকে তারা বাসায় ফিরে দরজা ভেতর থেকে বন্ধ দেখতে পায়। অনেকক্ষণ ডাকাডাকি করেও কোনো শব্দ না পেয়ে বাসার সিকিউরিটি গার্ডকে সঙ্গে নিয়ে তালা চাবি মিস্ত্রী এনে রুমের দরজা খুলে। পরে রুমের ভেতর ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায় তাকে। পরে থানায় খবর দিলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।
তিনি আরো জানান, প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যা বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিস্তারিত তদন্তের পর ও ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলেই মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে। এদিকে ঢাকা মেডিক্যাল পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া জানান, মুগদার উত্তর মান্ডা খালপাড় এলাকায় বাড়ির নিচ তলায় দাদা দাদির সঙ্গে থাকতো বিদ্যুৎ। তিনি নবাবগঞ্জের মৃত কামাল হোসেনের ছেলে।
তার চাচা আবুল কালাম জানান, বিদ্যুৎ রাজমিস্ত্রির সহকারী হিসেবে কাজ করতো। কিছুটা মাদকাসক্ত ছিলো সে। গত শনিবার রাতে খাবার খেয়ে সে রুম থেকে দ্রæত বের হয়ে যায়। এতে বিদ্যুতের ছোট চাচার সন্দেহ হলে কিছুক্ষণ পর তাকে খুঁজতে বের হন। রাত ১১টার দিকে বাড়ির ছাদে পানির পাইপের সঙ্গে দড়ি দিয়ে গলায় ফাঁস দেয়া অবস্থায় দেখতে পায় তাকে। পরে পুলিশকে খবর দিলে তারা লাশ উদ্ধার করে। এছাড়া খিলগাঁও তালতলায় মায়ের সঙ্গে রাগারাগি করে বৈদ্যুতিক পাখার সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়েছে রিনভী আক্তার নামে এক নারী। জানা যায়, তার স্বামী রাসেল আমেরিকা প্রবাসী। গত শনিবার রাত ১১টার দিকে সে গলায় ফাঁস দেয়। পরে পরিবারের সদস্যরা গলায় ফাঁস দেয়া অবস্থা দেখেতে পেয়ে তাকে উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে মৃত ঘোষণা করেন।
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (ইন্সপেক্টর) মো. বাচ্চু মিয়া জানান, রিনভীর লাশ বিনা ময়নাতদন্তের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেছে থানা পুলিশ। বাকি দুই জনের লাশ মর্গে রাখা হয়েছে। এ সব মৃত্যুর ঘটনা সংশ্লিষ্ট থানাকে অবগত করা হয়েছে। পুলিশ এ সব মত্যৃ তদন্ত করছে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মৃত্যু


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ